বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় জনতা সিনেমা হলটিও ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে



রাশেদুজ্জামান-সুমন, জলঢাকা  নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় এক সময় বিনোদনের মাধ্যম সিনেমা হল নির্মাণের প্রতিযোগীতা হয়েছিল। কালের বিবর্তে আজ একটি সিনেমা হলও নেই গোটা উপজেলায়। যেটি ছিল জনতা সিনেমা হল দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকার পর সেটিও ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা নির্মানের পরিকল্পনা করেছে মালিক পক্ষ। ইন্টারনেট, ডিস লাইন, স্মার্ট ফোনসহ সরকারি সুদৃষ্টি সিনেমা হলের প্রতি না থাকার কারনে এমনটা হয়েছে বলে মনে করেছেন কর্তৃপক্ষরা। জানা গেছে উপজেলার টেংগনমারী, কৈমারী, পৌর এলাকাসহ প্রায় ৭টি সিনেমা হল নির্মাণ করা হয়েছিল বিনোদনের জন্য। ২০০০ সালের পর সব হলগুলোতে প্রতিটি শো-তে দর্শক মুখরিত ছিল। টিকিট কাটা নিয়ে প্রায় ছোট খাটো মারামারি লেগেই থাকতো। সেই সোনালী দিন এখন অতিত। মানুষ এখন ঘরে বসেই টিভির রিমোট টিপে, মোবাইল স্ক্রীনে টাচ করে নিজের ইচ্ছে মতো ছবি, নাটক দেখতে পারে। কৃষ্ণ চন্দ্র রায় জানান, পূজোর সময় সিনেমা হলে টিকিট পাওয়া যেত না। সবসময় হাউজ ফুল থাকতো, টিকিট কাটতে গিয়ে মারামারি আবার কোন সময় ব্লাকারদের কাছ থেকে বেশি দামে টিকিত কিনতে হতো। বন্ধুরা মিলে প্রতিটা হলে গিয়েই ছবি না দেখলে শান্তি পেতাম না। এখন আর সেই ছবিও নেই সিনেমা হলও নেই। জনতা সিনেমা হলের মালিক মোশফিকুর রহমান মিজু জানান, আমার বাবা ১৯৭৯ সালে সিনেমা হলটি নির্মাণ করে। ২০১০ সাল পর্যন্ত ভালোই ব্যবসা করেছি, ২০১০ সালের পর থেকে আমাদের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাই হল ভেঙ্গে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করছি। সরকার যদি এই শিল্পের উপর সু-নজর দিতো তাহলে একটি  সিনেমা হলও ভেঙ্গে ফেলতে হতো না। এখানে যারা কাজ করেছে তারা পেশা বদল করে রিক্সা, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। 


Post a Comment

0 Comments