বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে ইউপি নির্বাচনে দুই পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের মারামারি, আহত ১০জন



রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত দুই প্রার্থী সমর্থকের মধ্যে মারামারি ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি ঘটনায় ১০জন আহত হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার(৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যা হতে রাত আটটা পর্যন্ত উপজেলার বোড়াগাড়ী হাট সংলগ্ন চামারপাড়ার মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এমদাদুল ইসলাম ও সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক অপর সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম ভুট্ট’র কাছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হোন। নির্বাচনে পরাজিত এমদাদুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক সমর্থকের মধ্যে ভোট চলাকালীন সময়ে উক্ত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর ভোট গ্রহন সেন্টারে বাকবিতন্ডা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার সময় চামাড়পাড়া মোড় এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। মুহুর্তে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ও মারামারিতে লিপ্ত হয়। স্থানীয়রা মারামারি থামানোর চেষ্টা করে দুই পক্ষকেই দুইদিকে সরিয়ে দেয়। পরে উভয় পক্ষে একে অপরের দিকে ইট পাটকেল ছোঁড়াছুড়িঁ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষ ও পথচারীসহ ১০জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, মটুকপুর এলাকার লাজুর ছেলে জিয়ন(২৫), জহির উদ্দিনের ছেলে মাহবুর রহমান বাবু(৫০), মেলা পাঙ্গার জহুরুলের ছেলে সুইট(২৫), দক্ষিণ মটুকপুর এলাকার মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে আহম্মদ আলী (৫০), উত্তর মটুকপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নুরনবী(২৮), মটুকপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সাকিব(২২), মনিহারি পাড়ার রশিদুল ইসলামের ছেলে আবেদ(২০), দক্ষিণ মটুকপুর এলাকার মফিজার রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান সাবু(৩৮),  একই এলাকার সানাউল ইসলামের ছেলে মিলন ইসলাম(২১) ও মটুকপুর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে জানু ইবনে আজিজ(৩২)। 

তাদের মধ্যে সাকিব ও আবেদের অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে।

ডোমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজিয়া তাসনিম জানান, শরীরে আঘাত নিয়ে ১০ জন মেডিকেলে ভর্তি হয়। দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাদের রংপুর মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। 

এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, মারামারির খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দুই পক্ষকে শান্ত থেকে আইন অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেই।  এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে ও অপর পক্ষ অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।  তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে।

                                               


Post a Comment

0 Comments