বিজ্ঞাপন দিন

ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ভূট্টাক্ষেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। গত বোরবার (১৭ এপ্রিল) ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে জলঢাকা থানার মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগের দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলা রুজু করেনি পুলিশ। অভিযোগে জানা যায়,ঘটনার দিন গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের খারিজা গোলনা ভাটিয়াপাড়া এলাকার মহিদুল ইসলামের (ছদ্ম নাম) মেয়ে শিরিন আক্তার (ছদ্ম নাম) বাড়ির পাশে নির্মানাধীন একটি বিল্ডিংয়ে তার প্রতিবেশি বান্ধবীদের সাথে লুকোচুরি খেলছিল। খেলার শেষ পর্যায়ে শিরিন আক্তারকে একা পেয়ে একই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে তাজুল ইসলাম (৫০) জাপটে ধরে তার মুখ চেপে বিল্ডিংয়ের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ওই স্কুল ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে পড়নের কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তাজুল ইসলাম। শিরিন আক্তার তার মুখ থেকে কৌশলে তাজুল ইসলামের হাত ছুটকে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে এসে তাজুল ইসলামকে আটক করে। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় দৌড়ে পালিয়ে যায় তাজুল ইসলাম। ধর্ষণ চেষ্টার ভয় পেয়ে স্কুল ছাত্রী শিরিন আক্তার ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সারা রাত খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ভোর ৪ টার দিকে বাড়ির পার্শ্বে একটি ভূট্টাক্ষেতে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়ায় যায়। পরে উদ্বার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিরিন আক্তার গোলনা কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে তাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন। স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন,‘‘অভিযোগ পেয়েছি,ঘটনা সত্য এবং আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’

Post a Comment

0 Comments