বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ধানের দাম কম উৎপাদন খরচ উঠছে না বিপাকে চাষীরা



রাশেদুজ্জামান সুমন,জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না তাই বিপাকে পরেছে ধান চাষীরা। প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে। অন্য দিকে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি শ্রমিকরাও তাদের মজুরী চরা দামে বিক্রি করছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে এবার ১৪ হাজার ৬৬০ একর জমিতে ইরি বোরো আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ১১০ মেট্রিক টন ধান। ইতি মধ্যেই অর্ধেকেরও বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে, নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাদের ক্ষেতকে ধানে রুপান্তির করলেও শ্রমিকের চরা মূল্য ও ধানের কম দামের কারনে বিপাকে পরেছে চাষীরা। আবহাওয়া খারাপ থাকলেও ক্ষেত থেকে ধান কাটতে পারছেনা। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে ৪ থেকে ৫ হাজার দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এতে করে উৎপাদন খরচ উঠছে না। শৌলমারীর কৃষক কামরুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করতে শুরু থেকে হালচাষ, চারা লাগানো, নিড়ানি, কীটনাশক, সেচ, কাটা মাড়াই ইত্যাদিসহ শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ধান ফলে  ১৮ থেকে ২০ মন। এখন প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সব ধান বিক্রি করে প্রায় ১৩ হাজার টাকা মূল্য হয় আর এতোদিনের পরিশ্রম বেকার। কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোলের কৃষক রোকনুজ্জামান সাগর জানায়, আমার ৮ বিঘা জমির ধান এখনো কাটতে পারি নাই। শ্রমিকরা প্রতি বিঘা জমির ধান কাটার জন্য ৪ হাজার টাকা করে দাম হাকিয়েছে। এতো টাকা দরে আমার পক্ষে কাটা সম্ভব না, তাছাড়া ভ্যানে করে আনা খরচ, আবার মেশিন দিয়ে মাড়াই খরচতো আছে। ধানের যে দাম, এবার অনেক টাকা লোকশান গুনতে হবে। আকাশের অবস্থাও ভালো না, ধানের কপালে যে কি আছে আল্লাই ভালো জানে। পাইকার হামিদুল ইসলাম জানান, আমরা ধান কিনে অটো মেইলের কাছে বিক্রি করি। তারা যে দাম ধরে দেয় ওই দামেই এলাকায় ধান কিনি। এখন প্রতিমন ধান কিনতেছি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহম্মেদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরন হলেও ধান এখনো ৪০ ভাগ কাটা মাড়াই বাকি আছে। ধানের দাম বেশি হলে কৃষকদের জন্যে ভালো হতো।


Post a Comment

0 Comments