বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় আলু চাষে ব‍্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধি নীলফামারী জলঢাকায় আগাম আলু চাষ করতে ব‍্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। গতবারের তুলনায় আবহওয়া অনুকুলে থাকায় বেশি ফলনের আশা করছেন তারা। স্বল্পতম সময়ে আলু বাজার জাত হওয়াতে কৃষকেরা অনেক লাভবান হন। কৃষি অফিস জানিয়ছে এবার উপজেলার কৈমারী, কাঠালী, মীরগন্জ, শিমুলবাড়ী সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উচু জায়গায় প্রায় ৩২০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে সাধারণত সাদা ফোর, সেভেন, ডায়মন্ড, গ্রানুলা সহ বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তারা দু মাসের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলেন। ফলন কম হলেও নতুন সবজি হিসাবে দাম অনেক ভালো পাওয়া যায়। যা অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি। এ আগাম আলু দেশের রাজধানী সহ খুলনা, চট্টগ্রামে রপ্তানি করা হয়। মীরগন্জ ইউনিয়নের কালকেউট এলাকার আলু চাষী ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান জানান গেল বছর অতি বৃষ্টির কারণে এক জমিতে তিনবার আলু লাগাতে হয়েছে। তাই খরচ অনেক বেশি হয়েছিল। ফলনো ভালো হয় নি। তাই লাভ কম হয়েছে । কিন্তু এবার বৃষ্টি অনেক কম হওয়ার কারণে ভালো ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারী এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম জানায় এক বিঘা জমিতে আলুর বীজ, সার, সেচ ইত্যাদি সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। আলু উৎপাদন হয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ শত কেজি। প্রতি কেজি আলু প‍‍ঞ্চাশ টাকার উপর বিক্রি হয়। আমরা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় বীজ লাগিয়েছি। নভেম্বরের দশ, পনের তারিখের মধ্যে তুলবো। দু মাসের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। আবার সেই জমিতে ভুট্টার ফলনো অনেক ভালো হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান আগাম আলু এ অঞ্চলের কৃষকদের জনপ্রিয় ও লাভজনক ফসল। এটি চাষ করার উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে উচু জমি। যেখানে পানি জমে থাকে না।জলঢাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। এ এলাকার আগাম আলু সারাদেশে রপ্তানি হয়।

Post a Comment

0 Comments