বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি যেন ধান শুকানোর জন্য এলাকাবাসীর উপযুক্ত জায়গা

বজলুর রশিদ জল ডেস্ক : ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও অন্যান্য দিবসগুলিতে জলঢাকা উপজেলার ডাক বাংলোয় নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ফুলে ফুলে ভরে উঠলেও দেখা যায় অযত্ন-অবহেলায় প্রায় সারা বছরই থাকে অরক্ষিত । ধান শুকানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা হিসেবে এলাকাবাসী পছন্দ করে শহীদ মিনারটি । সরোজমিনে দেখা যায় এলাকাবাসী প্রায় এখানে ধান শুকায় । তাছাড়া শহীদ মিনারের বেদীতে ছাগলের বিষ্ঠা ও পর্যাপ্ত ধুলো বালিতে অপরিষ্কার থাকে ।স্থানীয়দের ছাগলের রাজত্ব যেন এই শহীদ মিনারটি। 


স্বাধীনতার ৪৬ বছর ধরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার প্রায় পাঁচ লাধিক মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছিল ছোট একটি শহীদ মিনারে। তারপর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে জলঢাকাবাসীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যার মূল উদ্যোক্তা তৎকালীন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ রাশেদুল হক প্রধান। ২০১৬ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই বিভিন্ন সভা-সেমিনারে জোরালো দাবি ওঠে একটি আধুনিক শহীদ মিনার নির্মানের।তারপর ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


জলঢাকা সাহিত্যে ও সংস্কৃতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরনবী বলেন, প্রতি মাসে একবার করে সাহিত্য প্রেমিকদের নিয়ে আমি এই শহীদ মিনারে সাহিত্য ও কবিতা পাঠের আড্ডা বসাই কিন্তু ছাগলের পায়খানা ও পর্যাপ্ত ধুলো বালি থাকায় আমাদের আড্ডা দিতে খুবই অসুবিধা হয় । এখন দেখি এখানে ধানও শুকানো হয় । ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে রীতিমতো অপমান করা হচ্ছে । আমাদের জন্য এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় । 


এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ আবদুল গফফার এর সাথে কথা বললে তিনি জলঢাকা নিউজকে বলেন, যেহেতু আমাদের পাহারাদার রাখার কোন ব্যাবস্থা নেই তবে পৌর মেয়রকে বলে যদি সপ্তাহে অন্তত একদিন ঝাড়ু দেওয়ার ব্যাবস্থা করা যায় তাহলে শহীদ মিনারের জায়গায় টি পরিষ্কার রাখা যেতো।


Post a Comment

0 Comments