স্টাফ রিপোর্টারঃ
পুরণো যুগের প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীতে বাঘও কাঁদে’। সেই বাক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে এবারও শীতের দাপট।
মাঘের প্রথমদিন থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের শরীরে কামড় দিচ্ছে শীত।
হিমালয় ঘেষা উত্তরের জেলা নীরফামারীর জলঢাকা সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে
শৈত্যপ্রবাহের ফলে জবুথবু হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
এসব এলাকার মানুষগুলোকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায় আজ কয়েক দিন থেকেই।
এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকেননি জলঢাকা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক
আবেদ আলী। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধ থেকে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র হিসেবে বেশকিছু কম্বল নিয়ে মানবতার সেবায় ছুটছেন এসব অসহায় দুস্ত শীতার্ত মানুষের কাছে। সপ্তাহ ধরে উপজেলা বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় বিতরণের অংশ হিসেবে গতকালেও বেশকিছু দুস্ত শীতার্ত মানুষের মাঝে নিজ হাতে এসব কম্বল বিতরণ করেন। তিনি কোনও বৃত্তশালী নন, কিন্তু মনের দিক থেকে কমতি নেই তার মানব প্রেম।
সাধ্যানুযায়ী সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে ভালবাসেন।
আবেদ আলী জানায়, মানুষ মানুষের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বরাবরের মতো এবারের শীতেও সাধ্যানুযায়ী এসব অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের উষ্ণতা দিতে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি মাত্র। এদিকে উত্তরের এসব শীতার্ত মানুষ তাদের শরীরে কিছুটা উষ্ণতার জন্য ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায়। দিনের মধ্যভাগে সুর্যের মুখ দেখা মিললেও রোদের তেমন তেজ নেই। অন্যদিকে প্রচন্ড এ শীতের কারণে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন ব্যহত হচ্ছে। কৃষক ও দিনমজুররা ঠিক মতো মাঠে কাজ করতে পারছেন না, জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান ঠান্ডায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিকরা রাস্তায় বের হচ্ছে বেলা বাড়ার পর থেকে। ফলে পরিবারের খোরাক যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা।
বাতাস ও শীতের কারণে জনশূন্য থাকছে রাস্তা-ঘাটসহ বাজারগুলো। তীব্র শীতের কারণে শীত জনিত যেমন, ডায়রিয়া,
সর্দ্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শাস কষ্ট রুগির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। শীতের গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেক অসহায়, দুস্থ ও ছিন্নমুল মানুষ। গরম কাপড় পাওয়ার আশায় তারা চেয়ে আছে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কর্মকর্তাদের দিকে। ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের কিছু বিত্তশালী লোক দুস্থদের মাঝে গরম কাপড় (কম্বল) বিতরণ শুরু করেছেন। তবে দুস্তদের সংখ্যানুয়ী বিতরণ অতি অল্প।
0 Comments