বিজ্ঞাপন দিন

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদীর খনন কাজের উদ্বোধন



জাহিনুর ইসলাম জীবন,জলঢাকা প্রতিনিধিঃনীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদীর জলধারা পুন:খনন কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বুড়ি তিস্তা ব্যারেজ থেকে এই নদীর খনন কাজ উদ্বোধন করেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার (এমপি)। এসময় উপস্হিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার,ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম,জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান প্রধান,জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির, ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান, ঠিকাদার কামরুজ্জামান কামরুল ও গোলনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সহ আরও অনেকে।উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথিবীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি বলেন, ৬৪টি জেলায় অভ্যন্তরিন ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের অধীনে ১২শত একর জমির মধ্যে ৫শত একর জমি ক্যাট প্রকল্পের আওতায় বুড়ি তিস্তা নদী খননে দৈর্ঘ্য- ৪.৫০ কি.মি. ও প্রস্থ ২.৫০ কি.মি. এবং ব্যারেজে খনন ৬ হেক্টরের মধ্যে ১ লক্ষ ৪ হাজার কৃষি জমি ৯ ফিট গভীরতায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ উদ্বোধন করা হচ্ছে আজ। এতে কৃষক সহজে পানি পাবে , মাছ চাষ হবে।নীলফামারীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার বলেন,৬০ শতকে তৎকালীন সরকার বুড়ি তিস্তা নদীর সেচ প্রকল্পটি  তিস্তা  ব্যারেজ প্রকল্পের মডেল হিসাবে গ্রহন করে বুড়ি তিস্তা নদীতে ব্যারেজ নির্মান করে পানির সমতা বৃদ্ধি  করে প্রধান খাল ও শাখা খাল সমুহের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিটি সেচ মৌসুমে প্রকল্প এলাকার সম্পুরক সেচ প্রধানের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গৃহীত হয়েছিল। ১৯৬৫ সাল হতে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান ছিল। পরে বিভিন্ন কারনে পকল্পটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পলি জমে জলধারা টির তলদেশ ভরাট হওয়ায় জলধারা টির পানি ধারন ক্ষমতা কমে যায়। ফলে প্রকল্পটি চালু করার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্দ্যোগ গ্রহন করে। প্রকল্পটি চালু ও ২২৩২ হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহের নিম্মিতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সাথে সমন্বিত করে একনেকের সভায় ১৪৫২.৩৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় পুর্বাসন ও সম্প্রসারন নামক প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের আওতায় ৬৬৭ একর জলধারার পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পুনঃ খননেরকার্যাদেশ প্রদান করা হয় ।প্রকল্পটি ২০২৪ সালে সমাপ্ত হবে।প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেচের পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন হবে।

Post a Comment

0 Comments