লাভলুর রশীদ : প্রত্যেক কবি সাহিত্যিকগন "জীবন-মৃত্যু" নিয়ে কিছু না কিছু লিখেছেন,,,
জন্ম ও মৃত্যু'র মধ্যবর্তী অবস্থার নাম "জীবন" ,,,,,,
মানবদেহে যতক্ষন জীবন বহাল থাকে- ততক্ষন মৃত্যুর প্রশ্নই আসে না,,,,!
জীবনকে অনন্তকাল টিকিয়ে রাখার মত কোন অমোঘ পন্থা আজ অবধি কোন গবেষক বা চিন্তাবিদ বিশ্ববাসীকে বলে দিতে পারেনি,,,,!!!!
পারবেও না,,,,!!
এটি সম্পুর্ন সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছেতেই সংঘটিত হবে।
জীব মাত্রই অবশ্যম্ভাবী এই পরিনতির অস্বাদন ভক্ষন করতে হবে সকলকেই,,,,,!!!!
বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদদের মতে-শ্বাশ্বত এই বিষয়ের ধারনাগুলো চিরকালই রহস্যাবৃতই থেকে যাবে,,,!!!
"মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে-মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই"
জীবন যতই দীর্ঘ হোক না কেন কেহই নিজেকে মৃত্যুর কাছে সমার্পন করতে চায় না,,,! একথা সকলেই জানি,,তবু কেন যেন আমরা চিরকাল বাঁচতে চাই,,,!!!!!!!!!!
মহাভারতের কাহিনীতে আছে,,,,ধর্ম ' যুধিষ্ঠির কে প্রশ্ন করেছিলো,,, বলোতো- আশ্চর্য কি,,,,? উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলো,,, মানুষ প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে,,,! তবুও যারা বেঁচে আছে,,তারা অনন্তকাল বেঁচে থাকার আশা করে,,,!!!
"মৃত্যু" যে প্রত্যেকেরই অবশ্যম্ভাবী পরিনতি- আমরা এটাকে বোঝার চেষ্টা করি কম,,,!
কিন্তুু ভয় করি সবচেয়ে বেশি,,,,!!
এতদসত্ত্বেও সকল প্রানীকেই মুত্যু স্বাদ ভোগ করতেই হবে,,,!
মানুষের জীবন আসলে কতই না বর্নাঢ্য ও বিচিত্র,,কতই না সুন্দর আমাদের জীবন,,, আকাশ-বাতাস-পাহাড়-সমুদ্র- সবুজ বনানীঘেরা প্রকৃতি সুন্দর আর সবচেয়ে সুন্দর এই যে বেঁচে থাকা,,! তবুও কি আজীবন বেঁচে থাকা যায়,,? বিদায়ের সাঁনাই হঠাৎই বেজে উঠবে,,নিয়ে যাবার পালকি এসে দাড়ায় দুয়ারে,,,! সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে,,, সবাইকে,,, অজানা গন্তব্যে,,,,!
হঠাৎ ভেসে উঠবে,, নাম না জানা পাখির ডাক,,, অজান্তেই চমকে উঠি,,,! জীবন ফুরালো না কি,,,,???????
হয়তো কারো পড়বে মনে একলা একা,,,,
ঢল-পাহাড়ের আলোয় যেন হঠাৎ দেখা,,,
পড়বে মনে- চার বেহাড়ায়- পালকি তোলে চার কলেমায়,,,,
ধীর গতিতে- নির্জনেতে এগিয়ে যাবে,,,,
পীদিম আলোয় ভরবে কুঠির- আশির্বাদে বইবে রুধির,,,,
ক্রমান্বয়ে বুকের মাঝে স্মৃতি হবে,,,,,
একদিন ঠিক পাপ পূন্যের বিচার হবে,,,,
0 Comments