বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা



ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংক্রান্ত ঘটনা। এছাড়াও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মৌখিকভাবে একাধিকবার অবগত করলেও এখন পর্যন্ত দোকান চুরির ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে কেউ গ্রেফতার না হলেও অব্যাহত রয়েছে চুরি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনা। খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ জুলাই গভীর রাতে জলঢাকা বাজারের ডোমার ডিমলা রোড এবং থানার মাত্র ২’শ গজ দূরত্বে অবস্থিত আর.এস কম্পিউটার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানে থাকা একটি ল্যাপটপসহ নগদ এক লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এছাড়াও দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরার মেশিনটিও নিয়ে যান চোরচক্র। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আর.এস কম্পিউটারের স্বত্তাধিকারী সাদেক আলম। ১০ জুলাই রাতে জলঢাকা কেন্দ্রীয় মন্দির মার্কেটের রতন রায় নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর দোকান প্রথমবার চুরি হয় এবং ১৯ জুলাই একই দোকান দ্বিতীয় বারের মতো চুরি হয়। ১৫ জুলাই উপজেলা রোড সংলগ্ন ডাঃ নবীউল ইসলামের চেম্বারের পার্শ্বে রনি ইসলামের দোকানে চুরি হয়। ২৫ জুলাই রাতে উপজেলা রোড আমাদের হাসপাতালের সামনে অবস্থিত অমল ঠাকুরের মুদি দোকান চুরি হয়। এসময় প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে চোরচক্র। সর্বশেষ ২৬ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পিছনে মমিনুর রহমানের হোটেলে চুরি সংক্রান্ত ঘটনা ঘটে। গত ২৪ জুন সকালে প্রাইভেট শেষ করে ফেরার পথে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় মাঠে আব্দুর রহমান রনি নামে এক এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থীকে পথরোধ করে ছুরি ঠেকিয়ে তার মানিব্যাগে থাকা ১ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এছাড়াও  বাজার থেকে দিন দুপুরে অটোভ্যান,বাইসাইকেলসহ চুরি ও ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনা বেড়েছে। চুরি বাড়ায় আতংকে রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মুক্তারুল আলম বলেন,‘ চুরি সংক্রান্ত ঘটনার বিষয় আপনাকে বলতে বাধ্য নই আমি।’



Post a Comment

0 Comments