বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তিস্তা নদীর বাধ ভেঙ্গে দুই গ্রামের শত-শত মানুষ পানি বন্দী

শাহজাহান কবির লেলিন, জলঢাকা, নিলফামারী (প্রতিনিধি)। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীর উপচে জলঢাকার দুইটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকা দু’টি কৈমারী ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী ৯নং ওয়ার্ডের বানপাড়া পূর্বচর ও গোপালঝাড়। এখানকার ৪শত পরিবার পানি বন্দী হয়ে আছে।তাদের কয়েকশত একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলী জমি পানিতে ডুবে গেছে।গরু-ছাগল নিয়ে উচু জায়গায় স্থান নিয়েছে অনেকে।সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে অনেক পরিবারে। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্হা ভেঙ্গে গেছে।ডালিয়া পাউবোর বরাতে জানা যায়, গত শুক্রবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার (১৫/জুলাই)বিকেলে পানি কমতে দেখা গেলেও,তিস্তার আগ্রাসী খরশ্রোতায় ভেঙ্গে যাচ্ছে, পূর্ব চর বানপাড়া ও গোপালঝাড় এলাকার বড় তিস্তার বাঁধ ।ভাঙ্গনের ফলে হু হু করে ডুকে পরছে নদীর পানি। পানিবন্দী হয়ে পরেছে শত-শত পরিবার।পূর্ব চর এলাকার আশরাফুল আলম (৪২) জানায়,বাঁধ নিচু হওয়ায় এবং তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে, পানি উপচে এসে এসমস্যার সৃষ্টি হয়।টেন্ডার হলেও ১ হাজার ফিটে ঠিকাদার কাজ করেনি।এখন পাউবো নদী বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে জিওটেক্স নদীতে ফেলছে।প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা ও সময়মত কাজ না করায় এ দুর্ভোগে পরতে হয়। ওই এলাকার সত্তরোর্ধ্ব কেরামত আলী বলেন,‘আমরা পানি বন্দী হয়ে কষ্টে আছি,আমাদের কাছে কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান এমনকি প্রশাসনের লোকজন এলো না, কেউ খবরটাও নিল না!’ এমন দুঃখের কথা জানিয়েছেন, এলাকার ময়হেনা বেগম,মাজেদুল ইসলাম,আসাদুজ্জামান সহ অনেকে। তথ্য নিতে গিয়ে দেখা হলো, ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যা রাজিয়া সুলতানার স্বামী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার সাথে।তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁর এলাকার পানি বন্দী মানুষের।সংবাদ কর্মীদের দেখে কথা হলো। বললেন, ‘আপনারা সাংবাদিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, ডিসি এবং ইউএনও মহোদয়কে প্লাবিত মানুষের ভোগান্তির কথা তুলে ধরুন।তাদের জন্য একটা কিছু করুণ!’ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, ‘আমরা প্রতি মুহুর্তে খোঁজ খবর নিচ্ছি, চেয়ারম্যান লিস্ট করছে।আমাদের সরকারের দেওয়া খাদ্য মজুদ রয়েছে। ’

Post a Comment

0 Comments