বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত



আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ শে আগস্ট) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশীপ নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল গফ্ফার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী- ৩ (জলঢাকা) আসনের এমপি মেজর (অবঃ) রানা মোহাম্মদ সোহেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম। 

এসময় বক্তব্য রাখেন, জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু, ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশীপ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি হেড শাহানাজ করিম, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাংক বরণ রায়, রংপুর বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম দুলাল, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজেশ, জেলা মহিলা আ'লীগের সভাপতি আফরোজা রুজি, উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অবিনাশ রায় ও জলঢাকা থিয়েটার এর সভাপতি সোনা মিয়া প্রমুখ। 

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ সামাজিক সম্প্রীতির সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন, সে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা।বিশ্বের বুকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আমাদের প্রিয় স্বদেশকে গড়ে তুলতে চাই। গড়তে চাই একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, যেখানে প্রতিটি মানুষ থাকবে নিরাপদ। প্রত্যেকের ধর্ম, সংস্কৃতি বা বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে মর্যাদার সাথে শাস্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত হবে। সম্মিলিত উদ্যোগে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে আমাদের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। সম্প্রীতিতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা, লিঙ্গ, শ্রেণি, বিশ্বাস, আচরণ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে মানুষের সাথে মানুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এর একটি বড় অংশ সামাজিক সম্প্রীতি। তারা সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ে আরো বলেছেন যে, সমাজের মধ্যে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক সহাবস্থান এবং মানুষের মধ্যকার বৈচিত্র্যময়তাকে স্বীকৃতি দেয়। নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মিলে-মিশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে। সমাজের বিকাশমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। 

যুথবদ্ধতার মধ্য দিয়েই সমাজের সৃষ্টি ও মানব সমাজের বিকাশ আর মানুষ যুথবদ্ধ হয় সম্প্রীতির মাধ্যমে। মানুষ যুথবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি করেছে নতুন দিগন্ত। সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে মানুষের আজকের এই সভ্যতা। একটি জাতির সামগ্রিক মঙ্গল এবং অগ্রগতির জন্য সম্প্রীতি অপরিহার্য, এটি বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির সম্পর্ক সৃষ্টি করে। মানুষের সাথে মানুষের আন্তরিক ও কার্যকর সম্পর্কই পারে বর্তমান সময়ের সংকট থেকে মানব সভ্যতাকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য মানবিক বিশ্ব রেখে যেতে আমাদের সকলকে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্প্রীতির শপথ নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ, তথা সম্প্রীতির বিশ্ব।

Post a Comment

0 Comments