বিজ্ঞাপন দিন

তিস্তা অববাহিকায় বড় বন্যার আশঙ্কা, আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে মানুষ

এরশাদ আলম,জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধি ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তা নদীরপানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত উত্তরের ৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আজ বুধবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। অসময়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় নদী পাড়ের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশের উজানে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২৮৫ সেন্টিমিটার এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকাল থেকে ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।অন্যদিকে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে অন্য নদীর পানিও। পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে বিকেল ৩টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে মধ্যরাত পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে নীলফামারীর তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভারতে ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্যামে প্রচুর পানি থাকে। ওই পানি প্রবেশ করলে এই অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারতের সিকিম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে করে তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিপৎসীমা অতিক্রমের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৫২ দশমিক ৮৪ মিটারে কাছাকাছি ডালিয়া পয়েন্টে পানি তিস্তা নদীর পানি পৌঁছাতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব তথ্য প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছে। এদিকে ভয়াবহ বন্যার খবরে প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তিস্তার বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নীলফামারীর জেলার জলঢাকা, ডিমলা উপজেলার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং শুরু হয়েছে। বন্যাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।

Post a Comment

0 Comments