বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় আগাম আলু চাষে ব‍্যাস্ত সময় পার করছে চাষিরা

রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী জলঢাকায় আগাম আলু চাষে ব‍্যাস্ত সময় পার করছে চাষিরা। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় ও দাম বেশি হওয়ার কারণে গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে আলুর আবাদ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অল্প সময়ের মধ্যে এ ফসল ওঠানো যায় বলে এটি লাভজনক আবাদ হিসাবে ধরা হচ্ছে। আগাম আলু সাধারণত উপজেলার কৈমারি, খুটামারা, মীরগন্জ, কাঠালি ইউনিয়নের উচু জায়গা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে এবার ৪০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সেভেন, ফোর,ডায়মন্ড, আলুর আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে। দুমাসের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। আগাম জাতের আলু ফলনে কম হলেও দাম অনেক বেশি পাওয়া যায় আর এবার আলুর দাম তো এমনিতে চড়া। এসব আলু রাজধানী সহ খুলনা, চট্টগ্রাম বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হয়। খুটামারা বালাপাড়া এলাকার কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র জানান গতবারের তুলনায় এবার আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে এবার বেশি লাভের আশা করছি। কারণ এবারে বেশি বৃষ্টি পাত হয়নি। এমাসের শেষের দিকে আলু তুলব। কাঠালির কৃষক আব্দুল মতিন বলেন প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন করতে সার, বীজ, কিটনাশক সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়। আর ফলন হয় ১২ শত থেকে ১৫ শত কেজি। গতবার নতুন আলু পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি করলেও এবার আরও অধিক দামে বিক্রির আশা করছি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বীজ বপন করে নভেম্বরের শেষের দিকে তোলা সম্ভব। আলুর জমিতে বেশি সার থাকায় পরবর্তীতে অন্য ফসলের ফলনও ভালো হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে আগাম আলুর চাষ বেড়ে গেছে। এটি এ অঞ্চলের একটি লাভজনক ফসল। এর আবাদ শুধু উচু জায়গাই বেশি হয় যেখানে পানি জমতে পারে না। আলু দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়।

Post a Comment

0 Comments